মঈন দেওয়ান ওই গ্রামের ইব্রাহিম দেওয়ানের ছেলে। তিনি রাজনীতির পাশাপাশি উপজেলার চন্দ্রা (ত্রিমোড়) মঈন ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক। তিনি নিজেকে কালিয়াকৈর পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের বর্তমান কমিটির শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক বলে দাবি করেন। সকালে মঈন দেওয়ান তার টয়োটা ব্র্যান্ডের প্রাইভেটকারটি কালিয়াকৈর উপজেলার সূত্রাপুরের বগাবাড়ী বিলে চালিয়ে নিয়ে যান। সেখানে নিয়ে প্রাইভেটকারটিতে আগুন ধরিয়ে দেন তিনি। গাড়িতে আগুন জ্বলতে দেখে স্থানীয় কৃষকরা ভিড় জমান।
এ সময় ফেসবুক লাইভে গিয়ে মঈন জানান, বিএনপির ডাকা তিন দিনের অবরোধের প্রথম দিন সন্ধ্যায় বিএনপি-জামায়াতের কর্মী-সমর্থকরা নবীনগর-কালিয়াকৈর মহাসড়কে কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা ত্রিমোড়ে হামলা চালিয়ে তার গাড়িটি ভাঙচুর করে। এ সময় বাধা দেওয়ায় পিকেটারদের হামলায় তিনি আহত হন। কিন্তু ঘটনার চার দিন পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত স্বেচ্ছাসেবক লীগ অথবা আওয়ামী লীগের কোনও নেতাকর্মী তার খোঁজখবর নেননি, এমনকি ফোনেও যোগাযোগ করেননি। এতে মনের ক্ষোভে ও কষ্টে তিনি ওই নির্জন বিলে গিয়ে কারটিতে অগ্নিসংযোগ করেন। গাড়িটি সম্পূর্ণ পুড়ে না যাওয়া পর্যন্ত তিনি অশ্রুসিক্ত চোখে সেখানেই দাঁড়িয়ে থাকেন। তিনি বলেন, ‘এতদিন ধরে রাজনীতি করি, ছাত্রলীগ করেছি, স্বেচ্ছাসেবক লীগ করছি। ছোট্ট একজন কর্মী হিসেবে রাস্তায় নির্যাতনের শিকার হলেও কেউ খবর নেয়নি। সে কারণেই আমার গাড়ি ক্ষোভে পুড়িয়েছি।’
কালিয়াকৈর পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক স্বপন সরকার বলেন, ‘মঈন দেওয়ান আমাদের কমিটির কেউ না। কে কার গাড়ি পুড়িয়েছে সেটি একান্তই তার ব্যক্তিগত ব্যাপার।’
মঈন দেওয়ানের অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের বিব্রত করার জন্যই সে এগুলো করছে।’কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকবর আলী খান জানান, মঈন দেওয়ান ক্ষুব্ধ হয়ে নিজেই তার গাড়িতে আগুন দিয়ে পুড়িয়েছেন। এ বিষয়ে কেউ থানায় কোনও অভিযোগ দেয়নি। লিখিত অভিযোগ পেলে বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।